কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানিতে উপজেলা পরিষদ চত্বর সংলগ্ন রাস্তা ও খেলার মাঠ ডুবে গেছে। পাকা রাস্তার উপর বয়ে যাওয়া পানিতে মাছ শিকার করছে উৎসুক মানুষ। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গোটা জেলা জুড়ে।
প্রবল বর্ষনে তিস্তা ও ধরলা নদীসহ নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে জেলার বেশিরভাগ এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ। পুকুর উপচে পাকা রাস্তার উপড় দিয়ে বইছে স্রোত। আর এই পানিতে পাকা সড়কে দলবেঁধে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে নানা বয়সি মানুষকে ।
শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার তুষভান্ডার-গেগড়া আঞ্চলিক সড়কে কালীগঞ্জ ইউএনও’র বাসভবনের সামনের সড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়। দেখা গেছে, শিশু, নারী পুরুষ দল বেঁধে আনন্দে হইহুল্লোড় করে মাছ শিকার করছে পাকা রাস্তার উপরে।
স্থানীয়রা জানান, গেল কয়কদিনে টানা ভারী বর্ষণে খাল-বিল, নদী-নালা এখন পানিতে ভরপুর হয়ে গেছে। এতে করে বেশিরভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে আশপাশের বহু খামারির পুকুর তলিয়ে মাছ বের হয়ে গেছে। এসব মাছ পানির স্রোতে ভেসে আসছে। বৃষ্টির পানি পেয়ে স্থানীয় শিশু, নারী পুরুষ মাছ শিকারে মেতে ওঠেছেন। তলিয়ে যাওয়া পাকা সড়কে দেখা মিলছে অনেক দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ। সেই মাছ ধরছে শিশু-কিশোর-তরুণরা।
এদিকে তিস্তা ও ধরলা তীরবর্তি এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, বানভাসি মানুষরা পানিবন্দি হলেও নতুন মাছ ধরছে বিভিন্ন ধরণের জাল দিয়ে। আবার অনেকেই নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ফেলেও এসব মাছ ধরছেন। শিশুরা পানিতে মাছ ধরছে, কেউবা ছোট ছোট পেলা জাল ব্যবহার করছে।
শরিফুল ইসলাম জানান, টানা কয়েকদিনে বৃষ্টির কারণে পুকুরসহ আবাদী ফসল ডুবে গিয়ে পাকা রাস্তার উপড় দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পানি যাতায়াতের কারণে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ চোখে পড়ছে। হাতের কাছে মাছ পেয়ে সবাই তা ধরছে।
শিশু আরিফ মিয়া বলেন, ‘পুকুরের মাছ ভেসে পাকা রাস্তার উপড় দিয়ে আসছে, তাই আমরা আনন্দে মাছ শিকার করছি। পুটি, টেংরা, টাকি ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ ধরেছি। এসব বাড়ির সবাই মিলে মজা করে খাবো।’
এনএ/রাতদিন