কালীগঞ্জে মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ নিল ট্রাক্টর


সম্প্রতি শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল হোসেন আলী রানা (১৭)। পরীক্ষা শেষ, ফলে আপাতত লেখাপড়ার চাপ নেই। তাই সংসারের নানা কাজে সহায়তা করছিল সে। এরই অংশ হিসেবে সোমবার, ১ এপ্রিল সকালে স্কুল শিক্ষক বড়বোনকে মোটরসাইকেলে তার স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল রানা।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরতে হয়েছে। দ্রুতগতির একটি ট্রাক্টর তাকে মাঝপথে পিষ্ট করেছে। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বানীনগর-চাপারহাট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনার পর ট্রাক্টরটিকে আটক করেছে পুলিশ।

এ দুর্ঘটনার পর লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের কাকিনা বাজার এলাকায় অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষুব্ধ লোকজন ও রানার সহপাঠীরা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পরে। ঘন্টা দেড়েক পর পুলিশ এ ঘটনায় বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।



জানা গেছে, উপজেলার উত্তরবাংলা কলেজ এলাকার সাহেব আলীর ছেলে নিহত রানা। সে এবার কাকিনা মহিমা রঞ্জন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল সে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে মোটরসাইকেলে বড় বোন শাহানা বেগমকে উপজেলার চাপারহাট এলাকার একটি স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল রানা। এসময় বানীনগর-চাপারহাট সড়কের মানিকবাজার এলাকায় বালুভর্তি একটি ট্রাক্টর মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই রানা মারা যায়। এ ঘটনার পর কাকিনা বাজারে মহাসড়কের অবরোধের পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল করে তার সহপাঠী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা।

পরে কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত চালকের বিচারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। বিকেলে কাকিনা মহিমা রঞ্জন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিহত রানার নামাজে জানাজা শেষে চাঁপারতল কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মকবুল হোসেন জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এবি/রাতদিন