কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে কর্মরত সকল চিকিৎসক, নার্স, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও কর্মকর্তা-কমর্চারীদের কাজের সময় ব্যবহারের জন্য স্থানীয়ভাবে ৩০০টি মাস্ক, ৩০০ টি টুপি ও ২০০টি অ্যাপ্রোন বানানো হয়েছে।
হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের আর্থিক সহায়তায় এসব বানানো হয়েছে বলে আজ রোববার, ২৯ মার্চ জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞসহ ২১ জন চিকিৎসক, ১৫০ জন নার্স-ব্রাদার, ২২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ৬ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ মোট ১৯৯ জন কর্মরত আছেন। সবার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মাস্ক, টুপি ও অ্যাপ্রোনগুলো বানানো হয়েছে। পাল্টাপাল্টি করে অটোক্লেভের মাধ্যমে তারা এগুলো ব্যবহার করছেন।
জাকিরুল ইসলাম আরও জানান, এই হাসপাতালে ১০ বেডের করোনাভাইরাস আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য যে ২০০ সেট পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইভমেন্ট (পিপিই) পাওয়া গেছে তা এখানে ব্যবহারের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে।
এদিকে সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, ৮ টি উপজেলা হাসপাতাল ও সদর উপজেলায় ৯৪ জন চিকিৎসক, ২০৩ জন নার্স এবং ৪৫ জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কর্মরত আছেন। তাদেরসহ পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য এ পর্যন্ত ৪৫০ সেট পিপিই বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ২০০ সেট পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এনিয়ে জেলায় পিপিই সেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫০ টি। এগুলোর মধ্যে ৫৯৫ সেট বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৫৫ সেট জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে।
এবি/রাতদিন