কুড়িগ্রামের শামীম খুন ঢাকার এটিএম বুথে

মো. শামীম। বয়স ২৪ বছর। প্রায় ছয় বছর থেকে বাবা, মা ও ভাইকে নিয়ে বাস করতেন রাজধানীর ভাটারা এলাকায়। নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন একটি বেসরকারি সিকিউরিটি এজেন্সিতে।

তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কিশামত প্রাণকৃষ্ণ গ্রামে। বাবার নাম নজরুল ইসলাম। তিনিও ওই এজেন্সিতে চাকুরি করেন।

এলিট সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটির হয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথে।

সোমবার, ২১ জানুয়ারি সকালে রাজধানীর বারিধারায় থাকা সেই বুথের ভেতর থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মাথা থেঁতলানো ছিল।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, ঘুমন্ত অবস্থায় শামীমকে হাতুড়ি অথবা রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত দুইটা থেকে সকাল ছয়টার মধ্যে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের।

রাজধানীর একাধিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৬টায় শামীমের ডিউটি শেষ হবে। তাই ৬টা বাজার কয়েক মিনিট আগে পরের শিফটের নিরাপত্তাকর্মী আলী মিয়া বুথের কাছে গেলে বাইরে থেকে রক্ত দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

ভাটারা থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় এলিট সিকিউরিটি ফোর্স লিমিটেডের জোনাল কমান্ডার শাহিন, সহকারী জোনাল কমান্ডার নজরুল ইসলাম ও রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

এদিকে পুলিশ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা এবং সিআইডি বিষয়টি তদন্ত করছে। উদ্ধার করা হয়েছে সিসি টিভি ফুটেজ।

ভাটারা থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হচ্ছে এ খুনের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত’।

এইচএ/২১.০১.১৯