কুড়িগ্রামে আবারো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ধরলার নদীর পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার নীচে থাকলেও বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি।
এতে নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়ছে অববাহিকাসহ চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা। নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত গত ৪ দিন ধরে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় নষ্টের উপক্রম হয়েছে।
নদ-নদীতে পানির প্রখর স্রোতে তীব্র হয়ে উঠছে নদ-নদীর ভাঙ্গন। জেলার সদর, উলিপুর, চিলমারী, রাজারহাট, ফুলবাড়ী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার অন্তত: ৩০টি পয়েন্টে ভাঙ্গনে ঘর-বাড়ি হারাচ্ছে মানুষজন।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন জানান, পরপর তৃতীয় দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা নতুন করে ঘুরে দাড়ানোর জন্য বাইরের জেলা থেকে আমন চারা কিনে এনে লাগিয়েছিলেন। এবারের পঞ্চম দফার বন্যায় সেগুলো আবার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের ধরলা নদীর অববাহিকার ঘর-বাড়ি নতুন করে প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি নদী ভাঙ্গনে কমপক্ষে ৭০টি পরিবার নি:স্ব হয়ে পড়েছে। ঘর-বাড়ি হারানো এসব পরিবারকে শুধু সরকারী চাল সহায়তা দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, জেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৮৫ মেট্রিক টন চাল, ১ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৪ লাখ টাকা গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নতুন করে ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১০ লাখ টাকা ও ২শ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।