বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবার কুড়িগ্রামে বাড়ি নির্মাণে বাধা দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো লাইনে পাকা বাড়ি নির্মাণে বাধা দেয় বিএসএফ। এ অবস্থায় বাড়ির মালিককে সদ্য নির্মাণকৃত বাড়ি ভেঙে জিনিসপত্র সরিয়ে আনতে হলো।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ঠোসবিদ্যাবাগিস গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের ভেতরে টিনশেডের আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করছিলেন ইসলাম হকের ছেলে আতিকুর। বিষয়টি জানতে পারে ৩৮ বিএসএফ কুর্শারহাট বিওপির সদস্যরা। পরে ১৫ বিজিবি লালমনিরহাট গংগারহাট বিওপিকে সীমান্ত সংলগ্ন পাকা বাড়ি নির্মাণ না করার জন্য অনুরোধ জানায় বিএসএফ।
acএকই সঙ্গে ওই বাড়িটি সরিয়ে নেয়ার জন্য বিজিবিকে তাগিদ দেয় বিএসএফ। শনিবার দুপুরে ওই গ্রামে গিয়ে বিএসএফের উপস্থিতিতে আতিকুর ও তার বাবা ইসলাম হকের সামনে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন আতিকুর।
ঠাসবিদ্যাবাগিস গ্রামের ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের ভেতরেই বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন আতিকুর। কিন্তু বিএসএফের বাধায় বাড়িটি ভেঙে দেয়া হয়। বাড়িটি ভেঙে দেয়ায় আতিকুরের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। আমরা সীমান্তের বাসিন্দারা নিরাপত্তা ও ভালোভাবে থাকার জন্য মজবুত করে বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করি। কিন্তু বিএসএফের বাধায় তা ভেস্তে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে হলেও দুই দেশের সীমান্তের কাছাকাছি বাড়ি নির্মাণ করছিলেন আতিকুর। ফলে বাড়িটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানায় বিএসএফ। তবে বাড়িটি ভাঙেনি বিএসএফ। বাড়ির মালিক নিজেই স্থাপনা ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। এ সময় ভারতীয় ৩৮ বিএসএফ কুর্শারহাট কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর এমএস রাতোয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আনোয়ার-উল-আলম বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে সীমান্তের জিরো লাইনে কেউ পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবেন না। তাই বাড়িটি সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
এইচএ/রাতদিন