প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকলেও কোয়েল পাখির ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। এটি মুরগীর ডিমের চেয়ে আকৃতিতে বেশ ছোট। দেখতেও আলাদা, সাদা ও বাদামি ছোপওয়ালা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের ডিম খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হয় তারা এই ডিম খেতে পারেন।
কোয়েল পাখির ডিম খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবে:
পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ: শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি হলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থাইটিস, স্ট্রোক, ক্যান্সার এবং হজমজনিত সমস্যা হতে পারে। কোয়েল পাখির ডিমে উচ্চ পরিমান পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে।
বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ সারায়: ভিটামিন এ এবং সি’য়ের ভাল উৎস হওয়ায় কোয়েল পাখির ডিম বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোগ সারাতে ভূমিকা রাখে।
প্রদাহ সারায়: প্রোটিন প্রাকৃতিক ভাবে অ্যান্টি-অ্যালার্জির কাজ করে। কোয়েল পাখির ডিম যেকোন ধরনের প্রদাহ সারাতে ভূমিকা রাখে।
হরমোনের কার্যকারিতা বাড়ায়: কোয়েলের ডিমে থাকা ভিটামিন বি বিপাকক্রিয়া বাড়ায়। সেই সঙ্গে হরমোন ও এনজাইমের কার্যকারিতা ঠিক রাখে।
রক্ত বিশুদ্ধ করে: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কোয়েলের ডিম বেশ উপকারী। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে: কোয়েলের ডিমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। নিয়মিত এই ডিম খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: কোয়েলের ডিমে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বয়সজনিত মাসকুলার ডিজেনারেশন বা দৃষ্টিশক্তি খারাপ হওয়া প্রতিরোধ করে।
স্নায়ুচাপ কমায়: নিয়মিত কোয়েলের ডিম খেলে স্নায়ুচাপ কমে। এটি মাইগ্রেন, হাইপারটেনশন, বিষন্নতা, প্যানিক অ্যাটাক এবং উৎকণ্ঠাজনিত জটিলতা কমায়।
এনএইচ/ রাতদিন