বিএনপির বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার ও সরকারবিরোধী ‘তুমুল’ আন্দোলনের ঘোষণাকে ‘খালি কলসী বাজে বেশি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের চতুর্থ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির ‘তুমুল আন্দোলন’ আমরা দেখেছি। তাদের যতো সমাবেশ, নিজেদের মধ্যে মারামারিও ততো। নেতাদের ওপর কর্মীদের আস্থা নেই। যে নেতারা বোরখা পরে আদালতে জামিন নিতে যান, তাদের ওপর কর্মীদের আস্থা না থাকাই স্বাভাবিক। তাদের আন্দোলনের ডাক শুনে মনে হয় একেই বলে, খালি কলসী বাজে বেশি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া কোনও রাজনৈতিক বন্দী নন যে তাকে আন্দোলন করে মুক্ত করা যাবে।’
‘বিএনপির আন্দোলন কার বিরুদ্ধে?’ -প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতির দায়ে তাকে সাজা দিয়েছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্ত করতে বিএনপির আন্দোলনের হুমকি আইন ও আদালত অবমাননার শামিল।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে দেশ আজ জাতর পিতার স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে, উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘খাদ্যঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যরপ্তানীর দেশ, দুর্যোগে সাহায্যগ্রহীতা থেকে সাহায্য প্রদানকারী, গত এক দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ দেশে রূপান্তরিত হওয়া যারা সহ্য করতে পারে না, তারাই দেশের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করবেন বলে সম্মেলনে প্রতিশ্রুতি দেন এবং তাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান।
আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মোজাফফর হোসেন পল্টু, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ উপদেষ্টা সৈয়দা রোকেয়া বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।