গংগাচড়ায় রাস্তা সংস্কারে রশি টানাটানি, বৃষ্টি এলেই জলমগ্ন পল্লীবিদ্যুৎ সড়ক

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের রাস্তা পল্লী বিদ্যুৎ সড়ক। মাত্র ৪০০ মিটারের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরে গেছে। রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও নেয়া হয়নি উদ্যোগ, কাটেনি দুর্ভোগ।

বুধবার, ১ জুলাই সরেজমিনে দেখা যায়, গোটা রাস্তা জুড়ে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে আছে। প্রায়ই গর্তে আটকে যাচ্ছে যানবাহন। এই রাস্তার দুপাশে দুটি কিন্ডারগার্টেন, চারটি কোচিং সেন্টার, তিনটি এনজিও, রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডাক্তার চেম্বারসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শতশত মানুষ কাদা-পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছেন। রোগী অথবা গর্ভবর্তী নারীকে নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভোগান্তির শেষ থাকে না।

এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম বললেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এ সড়ক পানিতে ডুবে যায়। জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামত করা দরকার।

অসমর্থিত একটি সুত্র জানিয়েছে, সড়কটি নিয়ে উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মধ্যে দৃশ্যত বিরোধ চলায় সড়কটির সংস্কার নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশলী এজেডএম আহসানউল্লাহ বলেন, রাস্তাটি কয়েক বছর আগে জেলা পরিষদ থেকে মেরামত করা হয়েছে। আর যেহেতু সড়কটির দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটারের কম সেহেতু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী আমরা এটি সংস্কার করতে পারি না।

অন্যদিকে রংপুর জেলা পরিষদের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা জানান, সড়ক মেরামত কাজের জন্য জেলা পরিষদে কোনো ফান্ড দেয়া হয় না। এটি এলজিইডি করবে। তা না হলে এলাকার যে কোনো জনপ্রতিনিধি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে। তারপর বিষয়টি দেখা হবে।

তবে ভুক্তভোগীদের দাবি এ সমস্যা আশু সমাধান হোক, দ্রুত সংস্কার হোক সড়কটি।

জেএম/রাতদিন