রংপুরের গঙ্গাচড়া সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ত্রাণের ২ শত ৬৭ বস্তা চাল বিক্রয়ের জন্য পাচারকালে আটক করেছে রংপুর মেট্রোপলিটনের পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় চাল পাচারের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক ও শ্রমিকদের আটক করা হয়।
গতকাল শুক্রবার, ২৮ আগষ্ট মহানগরীর পরশুরাম থানা এলাকায় তাদেরকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদাম (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা প্রায়ই গোপনে খাদ্য গুদামের অন্যান্য কর্মচারীদের যোগসাজশে খাদ্য গুদামে রক্ষিত ত্রাণের চাল, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিসহ অন্যান্য বরাদ্দের সরকারি চাল বিক্রয় করে টাকা আত্মসাত করে থাকেন। বিষয়টি উপজেলার বাসিন্দাদের অনেকেরই জানা।
এরই ধারাবাহিকতায় এদিন উপজেলা খাদ্য গুদামে রক্ষিত ত্রাণের ২ শত ৬৭ বস্তা চাল খাদ্য গুদাম থেকে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে একটি ট্রাকে করে রংপুর শহরের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় নজরে আসে খাদ্য গুদামের আশপাশের বাসিন্দাদের। তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
পরে চালের ট্রাকটি রংপুর মহানগরীর পরশুরাম থানা এলাকা অতিক্রমকালে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পরশুরাম থানা ট্রাকসহ ওই চাল আটক করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রাক,চাল ও আটককৃত ব্যক্তিরা পরশুরাম থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
পরশুরাম থানার ওসি মহসিউল গনী আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২শত ৬৭ বস্তা চাল, একটি ট্রাক ও ট্রাকে থাকা শ্রমিকদের আটক করা হয়েছে। চালের বস্তা গুলো ৩০ কেজির এবং বস্তার গায়ে খাদ্য অধিদপ্তর নাম লেখা রয়েছে। আটকের ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাবিহা সুলতানা সরকারি চাল বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সংগ্রহের জন্য আমরা স্থানীয় আফজাল চাউল কল থেকে ৬ শত ৬৭ বস্তা চাউল গ্রহণকালে এর মধ্যে ২ শত ৬৭ বস্তা চালের মান খারাপ থাকায় খাদ্য গুদাম থেকে ফেরত দেই, হয়তো ওই চাউল গুলোই পুলিশ আটক করেছে।
তবে আফজাল চাল কলের মালিক বেলাল হোসেন জানান, আমার চাল কল থেকে শুক্রবার কোন চাল খাদ্য গুদামে দেইনি।