নবীয়া বেগম (৩৪)। স্বামী ছকমল মিয়ার সাথে বাড়ি ফিরতে ট্রেনে চেপেছিলেন গতকাল রোববার, ২৪ নভেম্বর রাতে। রাজধানীর কমলাপুর থেকে লালমনিরহাটগামী আন্তনগর ‘লালমনি এক্সপ্রেসে ট্রেনটি ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই প্রসব বেদনা ওঠে নবীয়ার। তবে গভীর রাতে আশপাশে ট্রেন থামার মতো কোনো রেলস্টেশন ছিল না। ফলে নবীয়া ট্রেনেই সন্তানের জন্ম দেন।
নবীয়া বেগম-ছকমল দম্পত্তির বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে। ছকমাল মিয়া পেশায় দিনমজুর। রাজধানীতে রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ করেন। পোশাকশ্রমিক নবীয়া সন্তান পেটে আসার পর আর কাজে যাননি। তাদের আরও তিনটি সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, ট্রেনের অন্য নারী যাত্রীদের সহায়তায় নবীয়া সন্তানের জন্ম দেন। তবে তাঁর রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। ফলে আজ সোমবার, ২৫ নভেম্বর সকাল সোয়া ৭টার দিকে ট্রেনটি বগুড়া স্টেশনে থামলে ওই দম্পত্তি সেখানে নামেন। পরে স্টেশনে থাকা এক যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রেলস্টেশন থেকে প্রসূতি ও নবজাতককে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
নবীয়া ও তাঁর স্বামী ছকমাল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, নবীয়া অন্তঃসত্ত্বা হলেও চিকিৎসকের কাছে যাননি। কবে সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে সেটাও অজানা ছিল তাদের।
তারা জানান, অন্য সন্তানদের নামের সঙ্গে মিল রেখে নবজাতকের নাম ইব্রাহীম হোসেন রাখা হয়েছে।
নবীয়া ও তাঁর নবজাতক সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এবি/রাতদিন