বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ণ ম্যাচটি ৬ উইকেটে জিতেছে দাসুন শানাকার দল। সৌম্য-সাব্বিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও শেষদিকে মালান-শানাকা ঝড়ে জয় ছিনিয়ে নেয় তারা। একটানা তিন ম্যাচ হেরে পরাজয়ের হ্যাটট্রিক পূরণ করলো রংপুর।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ১১ রান। বল হাতে ছিলেন টম অ্যাবেল। প্রথম বলেই ছয় মেরে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্রণে আনেন মালান। দ্বিতীয় বলে সিংগেল নিলেও পরের বলেই শানাকার উইকেট হারায় কুমিল্লা। দলটির প্রয়োজন দাঁড়ায় ৩ বলে ৪ রান। এ পরিস্থিতিতে চার মেরে দলকে জয় এনে দেন মালান।
রংপুরের দেয়া ১৮২ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে কুমিল্লার দুই ওপেনার সৌম্য ও রাজাপাকসে। প্রথম ওভারেই ১৭ রান তুলে নেন তারা। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৬ ওভারেই ৬১ রান আনেন তারা। রাজাপাকসে ৩২ ও সৌম্য ফেরেন ৪১ রান করে।
এরপর পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন সাব্বির ও মালান। অর্ধশতক থেকে ১ রান দূরে থাকতে সাব্বির আউত হলে তার জায়গায় আসেন শানাকা। শেষ ওভারে ফেরার আগে ৭ বলে ১২ রান করেন তিনি। মালান অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে।
রংপুরের হয়ে নবী, মুকিদুল, মুস্তাফিজুর ও টম অ্যাবেল একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮১ রান তোলে দলটি। রংপুরকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। ৪.২ ওভারের ওপেনিং জুটিতে মোহাম্মদ নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রান তোলেন শাহজাদ। ১০ বলে ৮ রান করে নাঈম রানআউটের শিকার হয়ে ফিরে গেলে ভাঙে সে জুটি।
মাত্র ২৭ বলে ৬১ রান করেন মোহাম্মদ শাহজাদ। তার ইনিংসে ছিলো ৭টি চার ও ৪টি ছয়ের মার।
এরপর টম অ্যাবেলের ২৫, মোহাম্মদ নবীর ২৬ ও লুইস গ্রেগরির ২১ রানের উপর ভর করে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তোলে প্রথম জয়ের অপেক্ষায় থাকা রংপুর রেঞ্জার্স। কুমিল্লার সফলতম বোলার মুজিব-উর-রহমান ২৫ রান খরচায় নেন ২ উইকেট।
জেএম/রাতদিন