লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় হেলিকপ্টারে চড়ে জলসা করতে এসে চুক্তি অনুযায়ী ওয়াজ না করায় আয়োজক ও মুসল্লিদের জনরোষের শিকার হয়েছেন প্রধান বক্তা মাওলানা মো. হাফিজুর রহমান সিদ্দিক (কুয়াকাটা)।
রোববার, ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে রূহানীয়া মাদরাসা মাঠে তিন দিন ব্যাপী ইজতেমা ও ওয়াজ মাহফিলে মাঠে এ ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাকে হেলিকপ্টারটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে চলে যায়।
জলসা কমিটি ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রূহানীয়া মাদরাসা মাঠে তিন দিন ব্যাপী ইজতেমা ও ওয়াজ মাহফিল ছিল রোববার। আর এই ওয়াজ মাহফিলের প্রধান বক্তা মাওলানা মো. হাফিজুর রহমান সিদ্দিককে (কুয়াকাটা) । প্রায় এক বছর আগে চুক্তি হয় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা । সে হিসাবে নগদ ৪০ হাজার টাকা বায়না দেয়া হয়। চুক্তি ছিল জলসার দিন বাদ জোহর থেকে রাত ১১টায় আখেরী মোনাজাত করে চলে যাবেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ওয়াজ মাহফিলে কমিটিরা ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা হেলিকপ্টারের ভাড়া পরিশোধ করেন। রোববার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা থেকে একটি হেলিকপ্টারে চড়ে রূহানীয়া মাদরাসা মাঠে নামেন প্রধান বক্তা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক।
এরপর আড়াইটার সময় জলসাস্থলে গিয়ে ওয়াজ শুরু করেন। প্রায় ৩০ মিনিট ওয়াজ করে মোনাজাত শেষে তড়িঘড়ি করে বালুচর মাঠে এসে হেলিকপ্টারে চড়ার সময় জলসা কমিটি ও মুসল্লিরা বাধা দিলে সেখানে উত্তেজনা শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে মুসল্লিদের সড়িয়ে দেয়। পরে হেলিকপ্টারটি করে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে চলে যায় ।
জামিয়া কারীমিয়া রূহানীয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা আব্দুর রহমান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী, তিনি (হাফিজুর রহমান সিদ্দিক) ওয়াজ না করে দ্রুতসময়ে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় মুসল্লিরা বাধা দেয় এবং ক্ষিপ্ত হয়। তিনি (প্রধান বক্তা) আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কোনো বছরই কোনো বক্তা এমন করেনি। তিনি আমাদের অনেক ক্ষতি করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রধানবক্তা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার একান্ত সহকারী রফিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, রূহানীয়া মাদরাসা মাঠে তিন দিন ব্যাপী ইজতেমা ও ওয়াজ মাহফিলে মাঠে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় বিপুল পরিমাণের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিল। যে কারণে বিশৃঙ্খলা করতে পারে নি।