জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিধি মেনে চলতে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথা সর্বসাধারণকে আহবান জানানো হয়েছে ।
রোববার, ১৫ ডিসেম্বর সরকারী তথ্যবিবরণীর বরাত দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে ।
তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ পতাকার সঠিক মর্যাদা রক্ষায় ‘পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)’ এ বর্ণিত পদ্ধতি যথাযথভবে অনুসরণ করে সঠিক মাপের মানসম্মত পতাকা উত্তোলনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথা সর্বসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্বযাপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন এবং কনস্যুলার অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)’ এর বিধি ৩ অনুযায়ী ‘জাতীয় পতাকা’ গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০ : ৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। পতাকার দৈর্ঘ্যের নয়-বিংশতিতম অংশ হতে অঙ্কিত উলম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদ বিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্র বিন্দু হবে।
জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ ও যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে অনেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন, যা জাতীয় পতাকার অবমাননার সামিল। (বাসস)
এসকে/রাতদিন