জোর করে সিল মারতে চাইলে গুলি করুন : নির্বাচন কমিশনার

‘যদি নির্বাচন চলার সময় কেউ জোর করে সিল মারার চেষ্টা করে, আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিতেছি, জাস্ট ওপেন ফায়ার। ফায়ার ওপেন করবেন।’ কথাগুলো বলেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এই নির্দেশ দেন।

বৃহষ্পতিবার, ১৪ মার্চ উপজেলার সরকারী বিকেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক প্রশিক্ষন কর্মশালায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

রফিকুল বলেন, ‘কেউ যদি ব্যালট ছিনতাই করে, আপনারা ঠেকানোর জন্য চেষ্টা করবেন। যদি ঠেকাতে না পারেন নির্বাচন বন্ধ করে দিবেন। আমার নির্বাচন করার দরকার নাই।

তার পরও যদি না পারেন তাহলে দরকার কী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচন চালিয়ে নেওয়ার, নির্বাচন করার? স্টপ। বন্ধ করে দেন আপনার নির্বাচন।’

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনে জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির অপর এক বিশেষ সভায় তিনি বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য আইনানুগ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো রকম ব্যত্যয় ঘটলে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘আমরা কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নই। আমরা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কাছে দায়বদ্ধ। বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ। তাই নিজের বিবেকের তাড়নায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সকল কর্মকর্তাকে কাজ করতে হবে’ -যোগ করেন নির্বাচন কমিশনার।

কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি প্রসংগে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতির হার ৩ না ৩০ ভাগ হল, সেটা দেখার বিষয় না। কারণ ভোটকেন্দ্রে ভোটার টেনে আনার দায়িত্ব আমাদের না। সেটা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের কাজ।’

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলামসহ অন্যানরা।

আরআই/রাতদিন