ডাস্টবিনে উদ্ধার ৩৩ নবজাতকের মরদেহ ছিল ‘শিক্ষা উপকরণ’

বরিশালে ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার হওয়া ৩৩ নবজাতকের মরদেহ আসলে মানব ভ্রুণ বা অপরিণত বয়সের দেহ। উদ্ধার করা ভ্রূণগুলোর অধিকাংশের হাত-পা-মাথা আছে।

সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনের ডাস্টবিন থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।

প্রথম আলো অনলাইনের খবরে বলা হয়, হাসপাতালের গাইনি বিভাগে অনেক মায়েরা অপরিণত  বাচ্চা প্রসব করেন। অনেক সময় পরিবারের লোকজন সেগুলো নিয়ে যান। আবার অনেকে  এসব ভ্রূণ হাসপাতালেই ফেলে যান। ফেলে যাওয়া ভ্রূণ দিয়ে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস নেওয়া হয়। পরে তা কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অপরিণত যেসব ভ্রূণ প্রসব হয় সেসব ভ্রূণ ফরমালিন দিয়ে হাসপাতালে গবেষণার জন্য সংরক্ষণ করা হয়। পরে তা মেডিকেল কলেজের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তবে সোমবার উদ্ধার বরা ভ্রূণগুলো এখন উপকরণ হিসেবে ব্যবহারযোগ্য নয়। তাই এগুলো মাটি চাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গাইনি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা তা না করে সেগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিল।

এ ঘটনায় গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক খুরশিদা জাহান ও নার্সিং সুপারভাইজর জোছনা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অপরদিকে অপর একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে কাঁচের পাত্রে ভ্রূণগুলো হাসপাতালে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল।  

এর আগে ডাস্টবিন থেকে ২২ নবজাতকের মরদেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল।

এমএইচ/রাতদিন