ঢাকায় সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা হত্যায় সাইফুলের ফাঁসি কার্যকর

রাজধানী ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় সাইফুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

সাইফুলকে ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল।  মামলার প্রধান আসামি সাইফুল বাগেরহাটের শরণখোলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের আব্দুল মোতালেবে হাওলাদারের ছেলে।

রোববার, ৩ মার্চ রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার রায় কার্যকর করা হয়।

ওই কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান সাংবাদিকদের জানান, বিধি মোতাবেক সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাত ১০টা ১ মিনিটে সাইফুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

জানা গেছে, লাল কাপড়ে মোড়ানো ফাঁসির পরোয়ানা রোববার কারাগারে পৌঁছায়। পরে কারা কর্তৃপক্ষ ঊধ্র্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর ফাঁসির মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেন। ফাঁসি কার্যকরের জন্য জল্লাদ রাজুসহ কয়েজেনকে প্রস্তুত রাখা হয়।

ফাঁসি কার্যকরের সময় সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল হক, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. আবু নাসার উদ্দিন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সাইফুলের মরদেহ নেয়ার জন্য বাগেরহাট থেকে ১৫ জন স্বজন দুপুরে কারাগারে আসেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাইফুল ইসলামের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে তারা রওয়ানা হয়। সাইফুলের মা আলেয়া বেগম কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাশ গ্রহণ করেন।

২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাসের নন ডিপ্লোমেটিক স্টাফ হিসেবে কর্মরত খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর পুলিশ গুলশান থানায় একটি মামলা করে। এর সাড়ে চার মাস পর সাইফুল ইসলামসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এইচএ/রাতদিন