করোনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতজুড়ে। ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশফেরত ও বিভিন্ন রাজ্য থেকে ঘরে ফেরা মানুষদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে প্রশাসনের নজরদারিতে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের বন্দি জীবনে আনন্দ খুঁজে নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের যুবকেরা। তারা তাস খেলে আর শরীরচর্চা করে দিব্যি সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন। তাদের সহায়তা করছে প্রশাসন। একাকিত্ব ঘোচাতে শরীরচর্চার পাঠও দিচ্ছে পুলিশ।
কোয়ারেন্টিনে প্রশাসনের ‘নজরবন্দি’ থাকা মানুষজন যাতে কোনোভাবেই সমাজের আর পাঁচজনের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন না মনে করেন, তাই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে প্লে-কার্ডস। ফলে কোয়ারেন্টাইন সময়ে প্রশাসনের সামনে দিব্যি তাস পিটিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ওয়াই-ফাই সুবিধাও। এমনি চমৎকার আনন্দদায়ক পরিবেশ পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া ‘কোয়ারেন্টিন’ সেন্টারে।
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের লক্ষ্য, ১৪ দিন ধরে কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষজনের যাতে কোনও মানসিক সমস্যা না হয়। বলা যায়, ‘মেন্টাল ট্রমা’ কাটাতে বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন স্থলকে সেখানে থাকা মানুষজনের ‘দ্বিতীয় ঘর’ হিসাবে তুলে ধরছে জেলা প্রশাসন।
পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘করোনামুক্ত পুরুলিয়া গড়া আমাদের লক্ষ্য। তাই কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষজনকে নজরবন্দি করা হলেও, তারা যাতে একাকিত্বে না ভোগেন, তাদের যাতে কখনোই না মনে হয় যে সামাজিকভাবে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে, তাই আমাদের নানান প্রয়াস।’
বড়দের পাশাপাশি এখানে থাকা শিশুদের মন ভাল রাখারও ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। তাদের হাতে দেওয়া হচ্ছে খেলনা।
সূত্র- সংবাদ প্রতিদিন।