দিনাজপুর সদর উপজেলায় ১৫ দিনের শিশু ইয়ানুর বেবীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তার মা নারগিস বেগম (৩০)। সৎ পুত্রবধুকে ফাঁসাতে তিনি নিজের ১৫ দিনের সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে আদালতে জানান।
সোমাবার, ২০ জানুয়ারি বিকেলে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের আদালতে তিনি এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে মা নারগিস বেগম বিচারকের কাছে জানান, তার সৎ পুত্রবধূ আরফাতুন মিমির সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। প্রায় সময় তাদের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। সে কারণে নিজের সন্তানকে সুজি খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মুখে লবণ ছিটিয়ে দেন। পরে তিনি সৎ পুত্রবধূ আরফাতুন মিমিকে ফাঁসানোর জন্য তার মেয়েকে লবণ খাইয়ে হত্যা করেছে মর্মে মামলা করেন। পুলিশ মামলার আসামি আরফাতুন মিমিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
কোতয়ালী থানা পুলিশের (ওসি) তদন্ত বজলুর রশিদ বলেন, প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহ হচ্ছিল যে হত্যার অন্য কোনো রহস্য আছে। সে অনুয়ায়ী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দুলাল হককে নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনা অনুয়ায়ী তদন্ত করে এসআই দুলাল হক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেন।
তিনি আরও জানান, কৌশল অবলম্বন করে মা নারগিস বেগম সৎ ছেলের স্ত্রী আরফাতুন মিমিকে ফাঁসাতেই শিশু ইয়ানুরকে হত্যা করেছেন। পরে মা নারগিস বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি শিশু ইয়ানুরকে হত্যার কারণ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি দুপুরে সদর উপজেলার চোওড়া গ্রামের এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় নিহত শিশু ইয়ানুরের সৎ ভাবি আরফাতুন মিমিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
জেএম/রাতদিন