দিনাজপুরে হাইকোর্টের ভুয়া আদেশ তৈরি করে ইটভাটা পরিচালনা, ২৭ মালিক জেলে

হাইকোর্টের ভুয়া ও জাল আদেশ তৈরি করে ইটভাটা চালানোর অপরাধের মামলায় ২৭ ইটভাটা মালিককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দিনাজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এজেডএম রেজওয়ানুল হক ও ফুলবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন রয়েছেন।

সোমবার, ২৯ জুলাই দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঞা এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, দিনাজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পার্বতীপুরের এইচ বি ব্রিকসের মালিক এজেডএম রেজওয়ানুল হক, অর্নব ব্রিকসের মালিক নুর আলম ও ইব্রাহিম আলম মণ্ডল, ফুলবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও রহমান ব্রিকসের আতাউর রহমান মিল্টন, জেএস ব্রিকসের শাহরিয়ার ইফতেখারুল আলম চৌধুরী, এআর ব্রিকসের মাহফুজুল হক আনার, নবী ব্রিকসের মাসুদুর রহমান চৌধুরী, এলএইচবি ব্রিকসের লোকমান হাকিম, এসবি ব্রিকসের মঞ্জুরী শাহাদৎ ও এমবি ব্রিকসের মাসুদ রানা।

এছাড়াও রয়েছেন, এএম ব্রিকসের রবিউল হাসান, এনআইচ ব্রিকসের নাজমুল হুদা, আরএ ব্রিকস-১ এবং আরএ ব্রিকস-২ এর রফিকুল ইসলাম, এএস ব্রিকসের এসএম হায়দার, এসপি ব্রিকসের পলাশ কুমার রায়, শফি ব্রিকসের শফিকুল ইসলাম, আরটি ব্রিকসের তাসরিফুল ইসলাম, আরটি ব্রিকসের তাসরিফুল, এসএ ব্রিকসের আমানুল্লাহ প্রামাণিক, মাইশা ব্রিকসের রেজাউল ইসলাম, কাজী ব্রিকসের কুদরই খোদা ও আসাদুজ্জামান, এআর ব্রিকসের শফিকুর রহমান, পিআর ব্রিকসের পলিন চন্দ্র রায়, বারী ব্রিকসের ফখরুল ইসলাম শাহ সাজু, আরবি ব্রিকসের রবিউল আলম মুন্সি ও হক ট্রেডার্সের জিকরুল হক।

এর আগে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হয়েছেন আরও ৪ ইটভাটা মালিক। এরা হলেন- যমুনা ব্রিকসের হাসান শাহরিয়ার, এআরবি ব্রিকসের রেজওয়ানুল হক, আজাদ ব্রিকসের আবুল কালাম আজাদ ও হামিদ অ্যান্ড সন্স ব্রিকসের মোকাররম হোসেন।

জেলহাজতে পাঠানো ২৭ জন ও বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ৪ জন দিনাজপুর সদর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরল, কাহারোল, পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ, পীরগাছা উপজেলার ইটভাটার মালিক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পার্বতীপুর উপজেলার রেজওয়ানুল হকের বাসায় বসে হাইকোর্টের ‘ভুয়া ও জাল আদেশ’ তৈরি করেছেন আসামিরা। পরে এই আদেশ দেখিয়ে স্থানীয় কৃষি ও আবাদী জমির ফসল বিনষ্ট করে ইটভাটা চালু রেখেছেন তারা।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স না থাকার পরও ইটভাটা চালু রাখার দু’টি জাল ও রিটের আদেশ তৈরি করেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।

এবি/রাতদিন