সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা যে মামলাটি করেছিলেন তার কোনো সত্যতা পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
মিথ্যা অভিযোগ করায় এখন নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই পাল্টা মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে গতকাল বুধবার দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানিয়েছেন।
বিচারপতি সিনহা দুই বছর আগে বিদেশে পাড়ি জমানোর পর যখন তার বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগের তদন্তে নেমেছিল দুদক, তখনই ঘুষের মামলাটি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুল হুদা।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলাটি হলে পুলিশ ৩ অক্টোবর মামলাটি দুদকে পাঠিয়ে দেয়। ওই মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব বলেন, ‘উনি (ইকবাল) তদন্ত প্রতিবেদন “ফাইনাল রিপোর্ট অ্যাজ ইন্টেনশনালি ফলস” হিসেবে দাখিল করেছেন।’
কমিশন এই অভিযোগ থেকে বিচারপতি সিনহাকে অব্যাহতি দিলেও একই দিন অর্থ্যাৎ গতকাল বুধবার ঋণ জালিয়াতির আরেক মামলায় তাকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে।
এদিকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৮(গ) (২) ধারায় মামলা করতে কমিশন অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান সাঈদ মাহবুব।
বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নাজমুল হুদার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করার পর নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ২০১৭ সালে তার কাছে সোয়া তিন কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেন বিচারপতি এস কে সিনহা। সে সময় হুদার ভাষ্য ছিল, ‘সে সময় তিনি (সিনহা) আমাকে বলেছিলেন, টাকা না দিলে আমার বিরুদ্ধে করা সবকটি মামলার রায় বিরুদ্ধে যাবে। ঘটনার তারিখ ছিল ২০ জুলাই। ওই দিন দুপুরে প্রধান বিচারপতি আমাকে তার খাস কামরায় ডেকে ঘুষ দাবি করেন।’
প্রসঙ্গত, বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার সরকারের মন্ত্রী ছিলেন নাজমুল হুদা। তবে সম্প্রতি তিনি বিএনপি ছেড়ে নতুন দল গড়েছেন। (সুত্র:আমাদের সময় )
এসকে/রাতদিন