শিক্ষা প্রশাসনে স্বচ্ছতায় বড় ধরণের রদবদল

শিক্ষা প্রশাসনে বড় রদবদল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার,৪ ডিসেম্বর এক আদেশে শিক্ষা ক্যাডারে ১১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। একই আদেশে বিভিন্ন দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নতুন কর্মকর্তাকে পদায়নও করা হয়েছে।

বদলির আদেশে বলা হয় – আগামী সোমবার, ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কর্মকর্তারা বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই তারিখ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।

আদেশে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক আব্দুল মান্নানকে সিলেটের সরকারি এমসি কলেজে বাংলার অধ্যাপক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবুল বাশারকে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে, সরকারি বাংলা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সহিদুল ইসলামকে গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে, নায়েমের উপ-পরিচালক মাসুদা বেগমকে কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মাদ্রাসা পরিদর্শক মুহাম্মদ নাজমুল হককে টঙ্গী সরকারি কলেজে, মাউশির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসেনকে সংযুক্ত হিসেবে সরকারি কবি নজরুল কলেজে, মাউশির সহকারী পরিচালক (কলেজ-১) একে মাসুদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে বদলি করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা ক্যাডারের একটি সিন্ডিকেট শিক্ষা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। তাই নানা অভিযোগে বদলিকৃত কর্মকর্তাদের বেশিরভাগকেই সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের শেষ সময়ে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছিল। পদে তদ্ববিরের মাধ্যমে আবার তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।

এদিকে, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইনকে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক), ঢাকা কলেজের অধ্যাপক এসএম আমিরুল ইসলামকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক রুপক রায়কে মাউশির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) এবং মাউশির সহকারী পরিচালক (সেসিপ) লোকমান হোসেনকে একই দপ্তরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-১) পদে পদায়ন করা হয়েছে।

এসকে/রাতদিননিউজ