কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পরকীয়া সন্দেহে কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আনছার আলীর (৫৫) বিরুদ্ধে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে দা দিয়ে কুপিয়ে তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেন।
আজ সোমবার, ২২ আগষ্ট দুপুরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইসমাইল হোসেন আনছার আলীকে আসামি করে নাগেশ্বরী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পৌরসভার কাওয়ালীটারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে পৌরসভার কাওয়ালীটারীর বাহার উদ্দিনের তালাকপ্রাপ্তা মেয়ে রেহেনা খাতুনের (৩২) বিয়ে হয় সন্তোষপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুটিনাওডাঙ্গা গ্রামের মৃত শরীয়তুল্লাহ মুন্সীর ছেলে আনছারের সাথে। তারপর কাওয়ালীটারীতে বাড়ী-ঘর করে প্রথম পক্ষের ছেলে সন্তানকে নিয়ে তারা স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। তাদের এ সংসারে জন্ম নেয় মেয়ে আশামনি। কিন্তু স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে পারস্পরিক অবিশ্বাসে তাদের সংসারে শান্তি ছিল না।
রোববার রাতে এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে স্বামী ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী রেহেনাকে মারাত্মক জখম করেন। এ দৃশ্য দেখে সন্তানদের চিৎকারে মেয়ের পরিবারের লোকজন দৌড়ে এসে আনছার আলীকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
পরে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে গুরুতর অসুস্থ রেহানাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নাগেশ্বেরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি, তদন্ত) তানভিরুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।