জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে গ্রাম্য সালিসে ৮৫ বছরের বৃদ্ধের সাথে ১২ বছরের এক শিশুর বিয়ে দিয়েছে স্থানীয় মাতব্বররা। ঘটনাটি ওই উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের বয়রাপাড়া গ্রামে ঘটেছে।
আজ শুক্রবার, ২০ নভেম্বর অন্যতম সালিসকারী ও ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন নাদু গনমাধ্যমকে জানান, শিশুটির জবানবন্দির ভিত্তিতে বৃদ্ধ মহির উদ্দিনকে ১০ দোররা মেরে শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই বৃদ্ধের নাতি শাহিনের (১৮) অপরাধের শাস্তি তার ঘাড়ে চাপানো হয়েছে।
তারা আরো জানায়, শিশুটি স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার পঞ্চম শেণির ছাত্রী। বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের নাতির সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শাহীনের ধর্ষণে শিশুটি গর্ভধারণ করে। পরে গত ১০-১৫ দিন আগে তার গর্ভপাতও ঘটানো হয়। কিন্তু বিষয়টি ফাঁস হলে স্থানীয় মাতব্বররা সালিস করে নাতি শাহিনের অপরাধের দায় ওই বৃদ্ধের ওপর চাপিয়ে দেয়।
মহিরের প্রতিবেশীরা জানান, মহির এর আগে তিনটি বিয়ে করেছে। এখন ঠিকমত কথাও বলতে পারে না, দৃষ্টিও ঝাপসা। তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেছে। তৃতীয় বিয়ে করেছে ২৭ বছর আগে। তিনি ৭ সন্তানের জনক। শিশুটি তার চতুর্থ স্ত্রী। ১২ বছর বয়সী এই স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বৃদ্ধ বলেন, ‘আমি নির্দোষ। গ্রামের মাতব্বররা এই বুড়া বয়সে আমার গলায় মরণকাঠি ঝুলিয়ে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি এনএম মইনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমরা জানি না। কেউ অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরআই /রাতদিন