মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নীলফামারীর একরামুল হকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ডিমলা, ডোমার ও জলঢাকা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা অপহরণ, হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট করেছিল।
আজ বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট রাজধানীর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান এ তথ্য জানান।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকলীন সময়ে সংঘটিত ৯ আসামির বিরুদ্ধে ৪৬ জনকে আটক, ২৫ জনকে অপহরণ, তিন ধর্ষণ, ১৫ বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও সাত জনকে হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ছয় অভিযোগে ২৩৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ৪৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর থেকে মামলার তদন্ত শুরু করে ২০১৯ এর ১ আগস্ট শেষ হয়। প্রতিবেদনটি আজই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধে একরামুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে একজন মারা গেলে তাকে মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়। এছাড়া মামলার আসামি কাউছার মোড় গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে শাহাদৎ হোসেন (৬৮) দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন।
এইচএ/রাতদিন