পঞ্চগড়ে থেমে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবন

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পঞ্চগড়ের ৫ উপজেলায় চলছে অঘোষিত লকডাউন। এতে হাট-বাজার, দোকানপাট, বিপণিবিতান, গণপরিবহন, মিল ,কল কারখানাসহ পাথরের সাইট বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছে জেলার হাজারো খেটে খাওয়া সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

গত ২৪ মার্চ থেকে শুরু করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শুধু ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী দোকান ব্যতীত সব ধরনের দোকানপাট, হাট-বাজার বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন ।

রোবরার, ৫ এপ্রিল দুপুরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে সাধারণ শ্রমিক ও দিন মজুরদের বসে বেকার সময় পার করতে দেখা যায় ।

জানা যায়, এ জেলার ৫ উপজেলার জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ শ্রমিক শ্রেণির তারা দিন আনে দিন খায়। গত কয়েকদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় ঘরে বেকার বসে সময় পার করছে তারা ফলে তাদের ঘরে থাকা জমানো টাকা ও চাল শেষ করে এমনকি  ধার-দেনা করে চলছে তাদের  সংসার কিন্তু এখন আর তাদের ঘরে খাবার না থাকায় এবং কাজ করতে না পারায়  থেমে গেছে তাদের জীবন ।

এ বিষয়ে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড়  এলাকার পাথর শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম জানান, ১৩ দিন থেকে কাজ করতে না পারায় পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনরাত্রি পার করছি । ঘরে জমানো যা টাকা ও চাল ছিল তা এত দিন ঘরে বসে বসে খেলাম কিন্তু এখন আর চলার উপায় নাই। মহাজন কাজ বন্ধ রেখেছে ফলে কাজ করতে পারছি না ।

একই কথা জানান, পঞ্চগড়  সদর উপজেলার সাতমেড়া এলাকার  দিনমজুর  বসিরুল আলমেরও তিনি জানান, আমরা কাজ করতে পারছি না  করোনার জন্য সব কিছু বন্ধ করে দিয়েছে । পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছি ।

এদিকে পঞ্চগড় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা পঞ্চগড়ের ৫ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কর্মহীন ও দুস্থদের মাঝে নগদ টাকা ও চাল বিতরণ করে যাচ্ছি ।

এনএ/রাতদিন