আগামী কয়েক মাসের মধ্যে চালু হচ্ছে পঞ্চগড়-ঢাকা রেলপথে আন্ত:নগর ট্রেন। পাশাপাশি আরও ১৪টি নতুন ট্রেন চাল হবে এ বছরের মধ্যে। এ জন্য চলতি বছরেই আমদানি করা ২২০টি অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী কোচ দেশে পৌঁছাবে। তবে ইঞ্জিন সংকট কাটাতে ভারত থেকে ২০টি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করছে রেলওয়ে।
পর্যাপ্ত কোচ এলেও রেলওয়েতে ইঞ্জিন সংকট রয়েছে। চলমান ট্রেনগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন দ্বারা চালাতে গিয়ে সিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। প্রায় সময় চলন্ত অবস্থায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ছে। রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ২ হাজার ৯২৯ কিলোমিটার রেলপথে মাত্র ২৭৩টি ইঞ্জিন দিয়ে ৩৫২টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করা হয়।
রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, চলতি বছরে আমাদের হাতে পর্যাপ্ত যাত্রীবাহী কোচ চলে আসবে। এসব কোচ দিয়ে অন্তত ১৫টি নতুন ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ভারত থেকে ইঞ্জিন আনার উদ্যোগ
নতুন ট্রেন চালুর অংশ হিসাবে ভারত থেকে ২০টি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনা হচ্ছে। এসব ইঞ্জিন দ্বারা নতুন ট্রেন চালানো হবে। সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে ভারতের রেলওয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে।
পৃথিবীর অনেক দেশে ইঞ্জিন ভাড়া দেয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে জানিয়ে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) শামছুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, ইঞ্জিনপ্রতি প্রতিদিন ৩০ হাজার টাকা ভাড়া হতে পারে। দু’দেশের সরকার পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে ইঞ্জিন আমদানির জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে আমদানি করা ইঞ্জিনগুলো দেশে চলে এলে ভারতীয় ইঞ্জিনগুলো ফেরত দেয়া হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র।
যেসব রুটে নতুন ট্রেন
কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকা-পঞ্চগড়, ঢাকা-বেনাপোল রেলপথে অত্যাধুনিক দুটি দ্রুতগতির নতুন ট্রেন চালু করা হবে। একই সঙ্গে ঢাকা-সিলেট, সিলেট-চট্টগ্রাম, ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে আরও তিনটি নতুন ট্রেন চালানো হবে। চলতি বছরে জামালপুরবাসীর জন্য আরও চারটি নতুন ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আবার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ, জামালপুর, সরিষাবাড়ি, তারাকান্দি হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনে যাবে। এছাড়া ঢাকার আশপাশের জেলার সঙ্গে স্বল্প দূরত্বের বেশ কয়েকটি নতুন ট্রেন চালু করা হবে। ২০০টি মিটারগেজ কোচ রেলবহরে যুক্ত হলে ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের পুরনো ও জরাজীর্ণ কোচ পাল্টে আধুনিকায়ন করা হবে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ৫০টি যাত্রীবাহী কোচের মধ্যে ৩৩টি চলে এসেছে। বাকি ১৭টি কোচ এ মাসের ১৫ তারিখে আসার কথা রয়েছে। এ কোচগুলো নিয়ে অন্তত তিনটি নতুন ট্রেন চালানো যাবে। অপরদিকে ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী বগির চালান জুন থেকে আসা শুরু করবে। সেগুলো চলে এলে মিটারগেজের ট্রেনগুলো চালু করা হবে।