পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ: যেভাবে এলো

পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ মোটেও আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। পহেলা বৈশাখ জাতীয় পার্বন হিসাবে অন্তর্ভূক্ত হয় ১৯৭২ সালে। আর রমনা বটমূলের সাথে পান্তা-ইলিশ যুক্ত হয় ১৯৮৩ সালে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অসমর্থিত সুত্রে জানা যায়, রমনা বটমূলের পান্তা-ইলিশের উদ্যোক্তা দৈনিক জনকন্ঠের সাংবাদিক বোরহান আহমেদ। রমনা বটমূলে তার দেয়া পান্তা-ইলিশের প্রস্তাবে সহযোগিরা ৫ টাকা করে চাঁদা তুলে এই আয়োজন করেন। আগের রাতে বাজার করে পান্তা, শুকনো ও কাচা মরিচ, পেয়াজ ও ইলিশ ভাজা তৈরী করে পহেলা বৈশাখের ভোরে সবাই হাজির হন বটমূলের রমনা রেষ্টুরেন্টের সামনে। এভাবে পান্তা-ইলিশের যাত্রা শুরু।

তবে এই মতের বিরোধিতাও রয়েছে। ওই বছর বা তার পরের বছর পান্তা-ইলিশের সাথে যুক্ত হন শহিদুল হক খান। তিনি দাবী করেন, নিজ হাতে পোষ্টার লিখে, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাটির সানকিতে পান্তা-ইলিশের প্রবর্তন তিনিই করেছেন। শুধু তাই-ই নয়, এ নিয়ে তিনি বিটিভিতে সাক্ষাতকারও দিয়েছেন-এমনটাই দাবী শহিদুল হকের।

তবে যেভাবেই হোক না কেন, এটি আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতির অংশ নয়। আর উদ্যোক্তা হিসেবে একক কৃতিত্বের দাবীদারও কেউ নন।