করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পাটগ্রাম উপজেলায় নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন স্থানে ১৪ জনকে ৩১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এভাবে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হলেও থামছে না আইন অমান্যের প্রবণতা।
বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম মো. মশিউর রহমান ও পাটগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) দীপক কুমার দেব শর্মার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
এ অভিযানে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মশিউর রহমান ১৩ জন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) দীপক কুমার দেব শর্মা ১ জনকে জরিমানা করে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,‘ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদির দোকান, কৃষিপণ্য ও যন্ত্রপাতির দোকান সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত খোলা রাখা এবং ওষুধের দোকান , হাসপাতাল ও ক্লিনিক সারাদিন খোলা রাখা এবং সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে লালমনিরহাট জেলাপ্রশাসন। এ আদেশ যাতে কেউ অমান্য করতে না পারে , এজন্য উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের এই গণবিজ্ঞপ্তি অমান্য, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেশি নেওয়া , অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাফেরা করা ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে ১৪ জন ব্যক্তিকে ৩১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদের মধ্যে ভোক্তা অধিকার আইনে ৬ জন , রোগ বিপন্নকারী আইনে ৩ জন ও সড়ক পরিবহন আইনে ৫ জনের জরিমানা করা হয়।
এ সময় পাটগ্রাম থানার পুলিশের একটি দল ভ্রাম্যমান আদালতের সঙ্গে ছিলেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পাশাপাশি তাঁরা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালান।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মশিউর রহমানের বলেন,‘ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি আমরা। তবে যারা আইন মানছে না ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা মাধ্যমে তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
জেএম/রাতদিন