ভারত থেকে আসা পানি ও গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই দিনভর বেড়েছে তিস্তার পানি। ফলে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট জুড়ে বন্যার আশংকা করছে প্রশাসন ও নদীতীরবর্তি এলাকার বাসীন্দারা। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে আজ সন্ধ্যা থেকে হাতীবান্ধার ধুবনীসহ নদীতীরবর্তি কিছু এলাকার বাড়িঘরে নদীর পানি ঢুকতে শুরু করছে বলে স্থানীয় বাসীন্দারা জানিয়েছেন।
এর আগে অতিবৃষ্টিতে তিন উপজেলার কিছু কিছু নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে হাতীবান্ধা উপজেলার এক হাজার ৩০০, কালীগঞ্জের ১৮০ ও সদর উপজেলার ৬০ পরিবার পানিবন্দি হয়েছে বলে সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে। তবে আদিতমারী উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার তিনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
জেলা ত্রাণ অফিস জানায়, ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে পাঁচ উপজেলায় ৬৮ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র মতে, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ৫২.৬০ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার সকালে এই পয়েন্টে নদীর পানি প্রবাহ ছিল বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে। পানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত ছিল সারাদিন। সন্ধ্যায় বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম সন্ধ্যায় বলেন, ‘পানি বেড়ে চলেছে নদীতে, তবে আমাদের আওতাধীন এলাকায় এখনো বন্যার কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।’
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, ‘কিছু কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বন্যার আশংকায় বিভিন্ন এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় জরুরি ত্রাণ মজুদ আছে।’
এবি/রাতদিন