পীরগঞ্জের বড়দরগা-মাদারগঞ্জ সড়কটি এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বড় বড় গর্ত আর যত্রতত্র কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় এটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে মানুষ আর যানবাহনকে অতিরিক্ত ১০ কি.মি পথ ঘুরতে হচ্ছে। ফলে গাইবান্ধার সাথেও রংপুরের দুরুত্ব বেড়েছে।
সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছিলো প্রায় ৫ বছর আগে। ভ’ক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগের অভাবে লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জের বড়দরগা থেকে মাদারগঞ্জ পর্যন্ত ১৩ কি.মি সড়কটির প্রস্ত ১৬ ফুট। এটি বড়দরগা, শানেরহাট ও মিঠিপুর এই তিন ইউনিয়নের প্রধান সড়ক। শানেরহাট এবং মাদারগঞ্জ ঐতিহ্যবাহী হাট হিসেবে খ্যাত। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে দুরের ব্যবসায়ীরা হাটে আসতে অনীহা প্রকাশ করছেন। প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
আবার অনেক বাস, ট্রাক, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহন উল্লেখিত সড়কের পরিবর্তে পীরগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড হয়ে অতিরিক্ত প্রায় ১০ কিমি পথ ঘুরছে। বাস চালক নুরু মিয়া (৪৫) জানান, গাইবান্ধা থেকে রংপুরে যাওয়ার জন্য মাদারগঞ্জ-বড়দরগা হয়ে দুরত্ব কম হওয়ায় যাত্রীদের ভাড়া কম লাগে। কিন্তু রাস্তাটি খানাখন্দের কারণে পীরগঞ্জ দিয়ে ঘুরতে হলে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে ঝগড়া বিবাদ লাগছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনাও হয়।
শানেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, এখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়ী এবং সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ আসনের সংসদ সদস্য। অথচ উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের উদাসীনতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে উল্লেখিত সড়কের সংস্কার না হওয়ায় সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
সড়কটির দুর্দশার কথা স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, সড়কের প্রাক্কলন তৈরী করে হেড কোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৫ সালে জাপানী দাতা সংস্থা জাইকা’র অর্থায়নে ‘নর্দার্ন বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট’ (নবিদেপ) উল্লেখিত রাস্তাটি সংস্কার ও উভয়পার্শ্বে বর্ধিত করা হয়।