পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লিতে হামলা: কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

রংপুরের সরকারি কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। কমিটির এক সদস্যের উসকানির জেরে পীরগঞ্জের হিন্দুপল্লিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

রোববার, ২৪ অক্টোবর কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সংগঠনটির মহানগর কমিটি।

মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিউর রহমান স্বাধীন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এতে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্তির কথা বলা হয়েছে।

গত ১৭ অক্টোবর রাতে ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ঘটনায় পীরগঞ্জের রামনাথপুর উত্তরপাড়া হিন্দুপল্লিতে ব্যাপক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে উসকানি দেন ছাত্রলীগ নেতা সৈকত মণ্ডল। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পড়ে রংপুর কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

হিন্দুপল্লিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের হোতা হিসাবে সৈকত মণ্ডল ও রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সৈকত উসকানি দিয়ে ও গুজব ছড়িয়ে হামলায় মদদ দেন। তিনি কারমাইকেল কলেজ দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ওই বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তার বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের চেরাগপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রাশেদুল মণ্ডলের ছেলে।

এ ঘটনায় অপর এক অভিযুক্ত হলেন রবিউল ইসলাম। তিনি খেজমতপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বাবুর ছেলে ও বটেরহাট জামে মসজিদের ইমাম।

কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার জানান, সৈকত কলেজ ছাত্রলীগের দর্শন বিভাগের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। ১৮ অক্টোবর দল থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সুত্র: সমকাল।

জেএম/রাতদিন