পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) উদ্যোগে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুব মহিলাদের ডাটাবেজ প্রস্তুত ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মাইকিং, লিফলেট, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে বেকাররা সাড়া দিয়ে তথ্য সম্বলিত ফরম পুরণ করে নির্ধারিত স্থানে জমা দিচ্ছেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারী থেকে কার্যক্রমটি শুরু হয়েছে। চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৩’শ ৮ টি গ্রামে ছড়িয়ে থাকা উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের ডাটাবেজ প্রস্তুত ও সংরক্ষনের লক্ষ্যে পীরগঞ্জের ইউএনও টিএমএ মমিন এ পরিকল্পনা হাতে নেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইউএনও’র স্বাক্ষরে ১৬টি তথ্য সম্বলিত একটি ছাপানো ফরম বেকারদের মাঝে বিনামুল্যে বিতরনের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া এসব ফরম ফটোকপির দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে।
উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের পর বছরের পর বছর চাকরী না পাওয়ায় তিক্ততায় ভরা জীবন নিয়ে অতিষ্ঠ বেকাররা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে ইউএনও’র উদ্যোগে অনেকটা আশার স্বপ্ন দেখছেন।
পীরগঞ্জ পৌর এলাকা ৪নং ওয়ার্ডের ধনশালা গ্রামের তুহিন মন্ডল,করিমপুরের শাহানশা, মরারপাড়ার মারফিয়া বেগম, শানেরহাট মেষ্টা গ্রামের রুম্পা বেগম,পলাশবাড়ীর শাপলা বেগম জানান, চাকরী না পেয়ে পরিবারের কাছে কোনভাবেই মুখ দেখাতে পারছেন না তারা।
চতরা ইউনিয়নের গিলাবাড়ী গ্রামের জনৈক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমার দু’ছেলে-মেয়ে এমএ পাশ করে বেকার। তারা চাকরীও পাচ্ছে না, বিয়েও দিতে পারছি না।’
ইউএনও টিএমএ মমিন বলেন, ‘একটি মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে উচ্চ শিক্ষিত বেকারদের ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। বেকারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডাটাবেইজ তৈরির মাধ্যমে সরকারের কাছে তথ্য প্রেরন করে একটি প্রস্তাবনা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ডাটাবেইজ তৈরির মাধ্যমে জানা যাবে, এ উপজেলায় কতজন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত এবং কারিগরি শিক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষিত আছেন। প্রয়োজনে এ সব তথ্য থেকে বেকারদেরকে কাজে লাগানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউএনও।
এমন পদক্ষেপে পীরগঞ্জের বেকার যুবক ও যুবতীরা আশার স্বপ্ন দেখছেন।
এসকে/রাতদিন