পুলিশে নিয়োগ পাওয়ার আগেই চাঁদাবাজিতে গিয়ে ধরা

রাকিবুল হাসান শান্ত। যশোরে সদ্য শেষ হওয়া ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে মনোনীত ১৯৩ জনের মধ্যে তিনি একজন। তাদের চাকরিতে যোগদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক হলেন শান্ত। তিনি যশোর শহরতলী পালবাড়ি গাজীরঘাট এলাকার শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে।

মঙ্গলবার, ৯ জুলাই বিকেলে যশোর শহরের সিটি প্লাজায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিনি আটক হন। তার কাছ থেকে পুলিশের ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। এ খবর পরিবেশন করেছে জাগোনিউজ ও সমকাল অনলাইন।

সিটি প্লাজার ব্যবসায়ীরা জানান, শান্ত এসএস ফ্যাশন হাউজে গিয়ে ৫ হাজার টাক চাঁদা দাবি করেন। এ সময় শান্ত নিজেকে পুলিশের নায়েক দাবি করেন। দোকান মালিক শান্তর পরিচয় নিশ্চিত হতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই নামে যশোরে কোনো পুলিশের নায়েক নেই।

এরপর সিটি প্লাজার ব্যবসায়ীরা খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। পরে শান্তর সহযোগী পালবাড়ি এলাকার একটি মাল্টিমিডিয়া দোকানের মালিক মামুনকে নিজ দোকান থেকে আটক করা হয়। ওই দোকান থেকেই তিনি ভুয়া পরিচয়পত্র বানিয়েছিলন। 

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সমীর কুমার সরকার জানিয়েছেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে শান্তকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এবি/রাতদিন