প্রখ্যাত সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আর নেই। নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই তিনি। মঙ্গলবার, ৯ জুলাই দিবাগত রাত পৌণে একটায় রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন) তিনি।
প্রবীণ এই সাংবাদিক দীর্ঘ দিন ধরে মাইলো ফাইব্রোসেসে (রক্তের ক্যান্সার) আক্রান্ত ছিলেন। তার অসুস্থতা বেড়ে গেলে ৮ জুলাই তাকে ওই হাসপাতালে লাইফ সার্পোট দেয়া হয়।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ছেলে অপূর্ব জাহাঙ্গীর সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বাবা।
মৃত্যুর খবর শুনে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের বাসায় ভিড় করেন তার স্বজন ও গুণগ্রাহীরা। তাকে দেখতে আজ সকাল ৯টার দিকে শান্তিনগরের বাসায় আসেন বড় ভাই নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বেলা ১১টায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ আসর তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে শান্তিনগরের চামেলিবাগ জামে মসজিদে। জানাজা শেষে তার লাশ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৭০-এর দশকের প্রথম দিকে প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যুক্ত হন। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও যুক্ত ছিলেন তিনি। নাচের সংগঠন নৃত্যাঞ্চল ড্যান্স কোম্পানির সমন্বয়কের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছোটভাই। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বেশ কিছু বইও লিখেছেন তিনি। বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশোর উপস্থাপক ও আলোচক হিসেবেও জনপ্রিয় ছিলেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। বিভিন্ন পত্রিকায় লিখতের কলাম।
এইচএ/রাতদিন