প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী কিছুটা দুর্বল হয়ে আজ শনিবার সকালে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। এর প্রভাবে উপূকলীয় জেলাগুলো ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি। কোথাও কোথাও ঘড়বাড়ি-গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী ফণীর প্রভাবে শনিবার, ৪ মে বেলা ১১ টা পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কিছু মানুষ :
বরগুনা : জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাসে কাঠের ঘর ধসে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার, ৩ মে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানি গ্রামে বাঁধঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দাদির নাম নুরজাহান (৬০) ও নাতির নাম জাহিদুর (৯)। জাহিদুর বাঁধঘাট এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ইব্রাহিম হোসেনের বাড়িটি কাঠের ছিল। বাড়ির একটি কক্ষে দাদি নুরজাহানের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাতি জাহিদুর। রাতে প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে কক্ষটি ধসে পড়লে ঘটনাস্থলেই দাদি-নাতির মৃত্যু হয়।
সাতক্ষীরা: প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরায় আজ শনিবার সকালে দমকা বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে গাবুরা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গাবুরার গাইনবাড়ি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আয়না বিবি (৯২) নামের ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি বার্ধ্যকজণীত কারণে মৃত্যু বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
নোয়াখালী: সৃষ্ট ঝোড়ো বাতাসের আঘাতে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপা পড়ে ১৩ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর আমিনুল হক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম মো. ইসমাইল। এ ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভোলা : ঘূর্ণিঝড় ফণী বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। আর এর আঘাতে ভোলার সাত উপজেলায় প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। জেলার দক্ষিণ দিঘলদী এলাকায় ঘরচাপা পড়ে রাণী বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও ভোলার বোরহানউদ্দিনের চর জহিরউদ্দিন, তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেল, মনপুরার চর নিজাম, চরফ্যাশনের ঢাল চর, কুকরী-মুকরী, চর পাতিলাসহ কয়েটি চরে ঘর-বাড়ি ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ে প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।