ভারী বৃষ্টি হতে পারে শুক্র-শনিবার, চলমান শৈত্যপ্রবাহে বাড়বে দিনের তাপমাত্রা

দেশের কয়েক অঞ্চলে বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে আরও দুদিন। তবে এসময়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। সেইসাথে আগামী শুক্র-শনিবার মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

রোববার, ৩০ জানুয়ারি সকালে ঘোষিত পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এমনটাই জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ এসময় সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানতঃ শুষ্ক থাকতে পারে। আগামী ৭২ ঘন্টায় দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্তদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে।  এছাড়া আগামী মঙ্গল-বুধবার রংপুর বিভাগে কোথাও কোথাও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে পারে। তবে শুক্রবার ৪ ফেব্রুয়ারি রংপুর বিভাগসহ সারাদেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাত শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগসহ টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, যশোহর এবং কুষ্টিয়া জেলাসমুহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে চলেছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.০°C রেকর্ড করা হয়েছে রাজারহাট, তেঁতুলিয়ায়।

সারাদেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্তদেশের নদী-অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকার কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে।

তাপমাত্রার তথ্যে জানায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা ১-২ ডিগ্রি সেঃ হ্রাস পেতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক পূর্ব/ উত্তর-পূর্বদিক থেকে ঘন্টায় (০৬-১২) কিঃ মিঃ। আজ সকাল ০৬ টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮৪%। আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ০৫ টা ৪২ মিনিট। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ০৬ টা ৪১ মিনিটে।

সিনপটিক অবস্থায় জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্নএলাকায় অবস্থান করছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।