ফিলিস্তিনে ঈদের নামাজে ইসরাইলি সেনা হামলা

মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা মসজিদুল আকসায় ঈদের নামাজ আদায়ে সমবেত মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি সেনাদের বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। পবিত্র এই মসজিদ অবমাননা করার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

রোববার, ১১ আগষ্ট এই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ে সমবেত মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি সেনাদের বর্বরোচিত হামলার পর এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করল হামাস।

বিবৃতিতে মসজিদুল আকসা’কে ফিলিস্তিনসহ গোটা মুসলিম উম্মাহর ‘রেড লাইন’ বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগণ এই পবিত্র স্থান রক্ষা করার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত রয়েছে। ফিলিস্তিনিরা বহুবার আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করার ব্যাপারে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে বলেও হামাসের বিবৃতিতে জানানো হয়।

গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস ওই বিবৃতিতে গতকাল মসজিদুল আকসায় হামলা চালানো ইহুদিবাদী সেনাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সমবেত মুসল্লিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর টিয়ারসেল ও রাবারবুলেট নিক্ষেপ করে ইসরাইলি সেনারা।

বেশিরভাগ আরব দেশের সঙ্গে মিল রেখে ফিলিস্তিনেও রোববার ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করতে বায়তুল মুকাদ্দাস শহরের আল-আকসা মসজিদে সমবেত হয়েছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে সমবেত মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি সেনারা হামলা শুরু করে এবং এতে অন্তত ৬৫ জন আহত হন। এ সময় ইহুদিবাদী সেনারা বেশ কিছু ফিলিস্তিনি মুসল্লিকে আটক করে নিয়ে যায়।

প্রসংগত, অধিকৃত জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত জেরুজালেমখ্যাত বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা মসজিদুল আকসা অবস্থিত। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া সত্ত্বেও গত ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটিকে ইহুদিবাদীরা দখল করে রেখেছে।