‘ফয়েল প্যাকেটে ভুল’ : পঞ্চগড়ে ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা

চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন পঞ্চগড়ের দুই উপজেলার দুটি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় কেন্দ্র দুটির পরীক্ষার্থীদের। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানায়, আটোয়ারী উপজেলার অটোয়ারী সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় শুরুতে পরীক্ষার্থীদের ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা’ বিষয়ের ২০১৮ সালের বহু নির্বাচনী প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়।

পরীক্ষার কোড নম্বরের মিল না পেয়ে কক্ষ পরিদর্শকদের বিষয়টি জানায় শিক্ষার্থীরা। ফলে পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পর ওই প্রশ্ন ফিরিয়ে নিয়ে আবারও ভুল প্রশ্ন দেয়া হয়।

এবার কেন্দ্রের নতুন পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয় বাংলা প্রথমপত্র বিষয়ের ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র। যা অনিয়মিতদের জন্য।

শিক্ষার্থীরা আবারও বিষয়টি তুলে ধরলে সবশেষে তাদের দেয়া হয় সঠিক প্রশ্ন। এতে ওই কেন্দ্রে থাকা উপজেলার ১৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬০৫ জন শিক্ষার্থীর ৩০ মিনিট করে সময় নষ্ট হয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছে।

এ ঘটনায় সময়ের অভাবে অনেকেই সবকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। অনেক শিক্ষার্থী এই দুর্ভোগে পড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে পরীক্ষায় তাদের জন্য পাঁচ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আটোয়ারী সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব ফজলুল করিম বলেন, ‘প্যাকেটের উপর বাংলা প্রথমপত্রই লেখা ছিলো। তবে ভেতরে ভুল প্রশ্ন ছিলো। পরে আমরা তা পরিবর্তন করে দেই’।

এদিকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বোদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ওই কেন্দ্রেও ভুল প্রশ্ন সরবরাহের পর প্রায় ২০ মিনিট পর পরীক্ষার্থীদের সঠিক প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। এ কেন্দ্রে ১৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

ওই কেন্দ্রের সচিব রবিউল আলম সাবুল বলেন, ‘যারা অনিয়মিত শিক্ষার্থী তাদের জন্য ২০১৮ সালের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়েছিল। পরে তারা ২০১৯ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করায় তাদের ২০১৯ সালের প্রশ্নই সরবরাহ করা হয়’।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এহেতেশাম রেজা জানান, সরকারি ছাপাখানা থেকে ফয়েল প্যাকেটের প্রত্যেকটির উপরেই বাংলা প্রথমপত্র লেখা ছিলো। তা খুলে শিক্ষার্থীদের বিতরণ করার পর জানা যায় প্রশ্নগুলো ভুল ছিলো। এটা যেখানে প্যাকেট করা হয় সেখানকার ত্রুটি’।

এবি/০২.০২.১৯