কালবৈশাখীর সময় এসে গেছে। এসময় বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হবে ঘন ঘন। সতর্ক না থাকলে প্রাণঘাতি বজ্রপাতের কবলে পড়তে পারেন আপনিও। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বজ্রপাত থেকে বাঁচতে ২০টি নির্দেশনা দিয়েছে। জেনে নিন সেগুলো:
নির্দেশনাগুলো:
১. ঝড় বা বজ্রপাতের সময় ধাতব কল, সিড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ বা এজাতীয় কোন ধাতব পদার্থ স্পর্শ করবেন না।
২. প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
৩. বজ্রপাত শুরু হলে খোলা জায়গায় অনেকে একত্রে থাকা যাবে না। প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দুরে দুরে সরে থাকতে হবে।
৪. সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান। ৫. খোলা জায়গায় কোনো বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেয়া যাবে না। গাছ থেকে কমপক্ষে চার মিটার দূরে থাকতে হবে।
৬. বৈদ্যুতিক তারের নিচে না থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।
৭. বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
৮. বৈদ্যুতিক শকের মতো করেই বজ্রপাতে আহতদের চিকিৎসা দিতে হবে।
৯. এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয়। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা গেলে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরে অবস্থান করুন।
১০. যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
১১. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
১২. ঘন-কালো মেঘ দেখা গেলে অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারেন।
১৩. উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
১৪. বজ্রপাতের সময় জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
১৫. বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
১৬. কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
১৭. বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।
১৮. বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
১৯. বজ্রপাতের সময় গাড়ির মধ্যে অবস্থান করলে, গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটিকে নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
২০. বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।