বন্যা আর করোনায় বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারত

ঘূর্ণাবর্তের কারণে অসম, মেঘালয়, অরুনাচল প্রদেশে নতুন করে আরও দুর্যোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সঙ্গে বাড়ছে করোনার প্রকোপও। প্রথম দিকে পাহাড়ি রাজ্যগুলোতে করোনার প্রকোপ কম থাকলেও এখন উত্তর পূর্ব ভারতের আট রাজ্যেই বাড়ছে করোনার দাপট। তবে মৃত্যুহার একটু কম।

পশ্চিমবঙ্গে শনিবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। চলতি মৌসুমে অসম তৃতীয়বারের মতো বন্যার কবলে। সিকিমে শুক্রবার গভীর রাতে ভূমিধসে নিখোঁজ দুইজন, জখম আরও দুই। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ ও অসমসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণাবর্তের কারণে সোমবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টিপাত।

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিম সিকিমের পাহাড়ি এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে দুটি বাড়ি ধসে নিখোঁজ দুই ব্যক্তি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সবাই মাটিচাপা পড়ে মারা গেছেন। লাশ উদ্ধার নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় জখম দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মেঘালয়ে ২২ সেপ্টেম্বর ভূমিধসে প্রাণ হারান ১৩ জন। অরুনাচল প্রদেশেও চলতি মৌসুমে বেশ কয়েকজন ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্য থেকেও ধসের খবর পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে দুর্যোগে পড়েছেন অসমের মানুষ। চলতি বছরে বন্যায় অসমের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯। রাজ্যের ৩৩টির মধ্যে ৩০ জেলাই বন্যা বিধ্বস্ত। এখনও নয়টি জেলা বন্যা কবলিত। দুই লাখ ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি।

অসম বছরে তিনবার বন্যা সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষার আগে, ভরা বর্ষায় এবং বর্ষার বিদায়ের সময় মানুষের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের প্রতিশ্রুতি মিললেও মেলেনি সুরাহা।

২২ মে থেকে এখন পর্যন্ত তিন দফার বন্যায় সরকারি হিসাবে মৃত্যু ১১৯। অসমের গর্ব এক-শৃঙ্গ গণ্ডার এ বছর মারা গেছে ১৮টি। অন্য বন্যপ্রাণী ও গবাদি পশুরও প্রাণ গেছে ব্রহ্মপুত্রের বন্যায়। এখন আবার বন্যা হওয়ায় লোকালয়ে শুরু হয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের উপদ্রব।

এনএ/রাতদিন