বর্তমানে বেশির ভাগ বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ-গান জনপ্রিয়। আর বর্তমানে বিয়ের অনুষ্ঠানে নাগিন ড্যান্স বা সর্পনৃত্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে, ভারতের উত্তরাঞ্চলের বিয়েতে এ নাচ একেবারেই সাধারণ একটি বিষয়। অথচ, সেখানেই এই নাগিন ড্যান্সের কারণে একটি বিয়ে ভেঙে গেছে। গত সপ্তাহে উত্তর প্রদেশের মাইলানি এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বারাত নিয়ে বিয়ের আসরে আসার পর বরের বন্ধুরা ডিজে গান চালিয়ে নাচতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন নতুন বরও। পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যাচ্ছে দেখে বরকে থামাতে যান কনেপক্ষের লোকজন। এসময় তিনি তাদের সঙ্গে বেশ দুর্ব্যবহার করেন।
তবে বিষয়টিকে বেশি দূর বাড়তে না দিয়ে শিগগিরই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা হয়। এরপর মালাবদলও করেন বর-কনে। হঠাৎ সেখান থেকে দৌড়ে ফের নাচের মঞ্চে উঠে তুমুল নাগিন ড্যান্স শুরু করেন বর। নাচতে নাচতে পড়েও যান তিনি। বরের এমন অনিয়ন্ত্রিত আচরণ দেখে তাৎক্ষণিক বিয়ে বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যান কনে।
বরপক্ষ মেয়েটিকে রাজি করানের অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। একসময় তারা কনে ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বর কনেকে থাপ্পড় মারেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
পরে পুলিশ ডাকা হলে বরপক্ষ বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে মীমাংসার অনুরোধ জানান। এতে রাজি হয় কনেপক্ষ। সিদ্ধান্ত হয়, বরপক্ষ অনুষ্ঠানের যবতীয় খরচ বহন করবে ও সবার দেওয়া উপহার ফিরিয়ে দেবে।
কনের ভাই বলেন, ওই সময় বর মাতাল ছিল আর কারও ধার ধারছিল না। বিবাহপূর্ব সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেখানে যা হয়েছে, তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আমার বোন বিয়ে বাতিল করায় সবাই কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু সমাজের চাপ সত্ত্বেও আমরা তার পাশে আছি। কারণ, আমরা জানি, সে ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।
স্থানীয় থানার এসআই বিপিন সিং বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু সমাজের মুরুব্বিদের পরামর্শে দুই পক্ষই বিষয়টি নিজেরা সমাধান করতে সম্মত হয়। বরপক্ষ লিখিত দিয়েছে যে, তারা সব খরচ বহন করবে ও ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সবার উপহার ফিরিয়ে দেবে।
এনএইচ/রাতদিন