প্রাচীন রাজা-বাদশাদের বিয়ের আয়োজন এখন রুপকথা। সেই রুপকথারই যেন মঞ্চায়ন হলো এযুগে।নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রাজকীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হলো একটি বাগদান ও বিয়ে রেজিস্ট্রেশন অনুষ্ঠান।
গত বুধবার, ১৪ আগস্ট রাতে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ ক্লাবে ওই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে আর কখনো এই শহরে এমন জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন চোখে পড়েনি সৈয়দপুরবাসীর।
জানা গেছে, শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের বিউটি সাইকেল স্টোরের স্বত্তাধিকারী ও নতুন বাবুপাড়া শহীদ বি- জামান রোড়ের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মো. আলতাফ হোসেন। তাঁর ছেলে মো. আতিফ হোসেনের বিয়ে উপলক্ষে এই বর্ণাঢ্য বাগদান ও বিবাহ রেজিস্ট্রেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কনে শহরের নতুন বাবুপাড়া বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পারভেজ আলমের কন্যা সামিহা তাসনিয়া (নিশাত)।
সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ ক্লাবে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের সাজসজ্জার কাজ চলে গত সপ্তাহখানেক ধরে। সাজসজ্জায় ঢাকা থেকে ডেকোরেশনের মালামাল ও শ্রমিক আনা হয় সৈয়দপুরে। বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয় হয় গোটা রেলওয়ে পুলিশ ক্লাব।
অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের প্রধান ফটকে নির্মাণ করা হয় সুসজ্জিত বিশাল তোরণ। কৃত্রিম ফুলে ফুলে আচ্ছাদিত করা হয় গোটা অনুষ্ঠানস্থল। লালগালিচায় অভ্যর্থনা জানিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় আমন্ত্রিত অতিথিদের।
অতিথিদের আপ্যায়নেও ছিল বৈচিত্রের সমাহার। ওপেন বুফেতে ছিল পুরি, শিক-কাবাব, চটপটি , ফুচকা, নানা প্রকার জুস, রসমালাই, চা-কফি কোল্ড ড্রিংকস। খাবার মেন্যুতে ছিল পোলাও -মাংস, বিরানিসহ নানা রকম খাবার। অতিথিদের বিনোদন ও আনন্দের জন্য ছিল মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠানও।
অত্যাধুনিক সাউন্ডসিস্টেমে আয়েশে অনুষ্ঠান উপভোগের জন্য ছিলো পুরো অনুষ্ঠানস্থলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা।অনুষ্ঠানে সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল বেসরকারি নিরাপত্তাবাহিনীর বেশ কিছু সদস্য।
জাঁকজমকপূর্ণ এই বিয়ের আয়োজন দেখে শহরবাসী অভিভূত হয়ে পড়ে। অনুষ্ঠানস্থলের সামনে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী শহরের লোকজন আয়োজন দেখে থমকে দাঁড়ান। কিছু সময় দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে দেখেন দৃষ্টিনন্দন প্রধান ফটকসহ সার্বিক আয়োজন।
শেষে শুভ বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা হয়।
এ ধরনের রাজকীয় আয়োজন সম্পর্কে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র পরিবহন শ্রমিক নেতা মো. আখতার হোসেন বাদল। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে আর এ ধরনের বর্ণাঢ্য আয়োজন হয়নি।’