গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীরসহ সারাদেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আধাবেলা হরতাল শন্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। হরতালে সরকারবিরোধী বড়দল ও সাধারণ মানুষের সমর্থন থাকলেও  দেশজুড়ে স্বাভাবিক ছিল যানচলাচল। তবে রাজধানীর শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় যানচলাচল বন্ধ ছিল বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

বর্তমানে সরকারবিরোধী সর্ববৃহৎ জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে হরতালে কোনো সমর্থন না আসলেও তাদের দুই প্রধান শরিক বিএনপি ও গণফোরাম এতে সমর্থন দিয়েছে। তবে এ দুটি দলের কাউকে মাঠে থাকতে দেখা যায়নি।

হরতালের সমর্থক সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন,  ‘সরকার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন করতে পারছে না। কিন্তু তারা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করছে, এতে লাভ কার? বাণিজ্যিকভাবে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে বলা হচ্ছে। সিলিন্ডার ব্যবসায়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের লাভের কারণেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম করা হচ্ছে।’

৩০ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী, গড়ে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশ। রান্নাঘরে যাদের গ্যাসের চুলা একটি, তারা এতদিন মাসে বিল দিতেন ৭৫০ টাকা। এখন থেকে গ্যাস বিল বাবদ মাসে তাদের ব্যয় হবে ৯২৫ টাকা। খরচ বাড়ল ১৭৫ টাকা। যাদের বাসায় দুই চুলা, তারা এতদিন বিল দিতেন ৮০০ টাকা। এখন তাদের দিতে হবে ৯৭৫ টাকা।

বাসাবাড়ির গ্যাসের পাশাপাশি যানবাহনে ব্যবহার করা সিএনজির (সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস) দামও বেড়েছে। সিএনজির ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটারে দাম বেড়েছে তিন টাকা। ৪০ টাকার সিএনজি গ্যাসের দাম বেড়ে হয়েছে ৪৩ টাকা।

রংপুরে হরতালের প্রভাব পড়েনি

রংপুর নগরীসহ বিভাগের আট জেলায় হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানা গেছে। রংপুর নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পাশাপাশি দোকানপাটও খুলেছে।

এদিকে রংপুর বিভাগের অন্যান্য জেলাতেও স্বাভাবিক ছিল মানুষের জীবনযাত্রা। এসব এলাকাতেও সড়কে অন্যান্য দিনের মতো যানবাহন চলাচল করেছে।

এবি/রাতদিন