লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে অস্থায়ীভাবে নির্মিত বাশের বেড়ায় যেন দুই দেশ একাকার হয়ে গেছে। আন্তার্জাতিক অভিবাসন চৌকির (আইসিপি) শুন্য রেখায় জাতীয় পতাকার রং দিয়ে রাঙানো হয়েছে বাঁশের বেড়া। একনজরে দেখলে মনে হতে পারে দুই দেশের জাতীয় পতাকা যেন শূন্য রেখায় মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের বাংলাদেশ অংশে জাতীয় পতাকার আদলে বাঁশের এ বেড়াটি তৈরি করা হয়। স্থলবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) কেফায়েত উল্যাহ মজুমদারের উদ্যোগে এটি তৈরী করা হয়। এতে পুরো ওই এলাকাটির দৃশ্যপট পাল্টে যায়। পর্যটকদের প্রায় সবাই নয়ণাভিরাম এই দৃশ্য যেমন উপভোগ করেন, তেমনি তারা এর ছবি তুলে স্মৃতির মনিকোঠায় এটিকে স্থায়ী করে রাখেন।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে বাঁশের বেড়ার এই সৌন্দর্য দেখে কিছুদিন পর চ্যাংড়াবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনের কর্তৃপক্ষ ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শূন্য রেখায় তাদের দেশের জাতীয় পতাকার আদলে বাঁশের বেড়ায় রং করেন।
বাংলাদেশের বেড়াটি শেষ হয়েছে শূণ্য রেখায়, আর বাংলাদেশের বেড়াটি যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে শুরু হয়েছে ভারতীয় পতাকার আদলে তৈরী বাশের বেড়া। দুর থেকে প্রথম দেখায় মনে হবে, দুই দেশের পতাকা যেন মিশে গেছে শূন্য রেখায়।
দুই দেশের পতাকার প্রতীকি মিশে থাকার মনোরম এ দৃশ্য সীমান্ত পথ ধরে যাতায়াতকারী চালক, ব্যবসায়ী, পর্যটক, শিক্ষার্থী সবাইকে মনে করিয়ে দেয় দু’দেশের বন্ধুত্বের বন্ধনের কথা।
সৃজনশীল এই শিল্পকর্মের উদ্যোক্তা বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার বলছিলেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এ বিষয়টি নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য বাঁশের বেড়ায় জাতীয় পতাকার আদল তৈরীর ভাবনা থেকেই এটি করা। কাস্টমস হল একটি দেশের উইন্ডো বা জানালা। যে কোনো দেশের নাগরিক কাস্টমসের মাধ্যমে একটি দেশ সম্পর্কে ধারণা পেয়ে থাকেন, তাছাড়া ভারত আমাদের প্রতিবেশী ভালো বন্ধু রাষ্ট্র। সে বিষয় গুলো মাথায় রেখেই কাস্টমস যাত্রীসেবা কক্ষ সংলগ্ন ওই করিডোরটি আমাদের জাতীয় পতাকার রঙে রঙিন করা হয়েছে।’
ভবিষ্যতে আরও কিছু উদ্ভাবনী কাজ করার ভাবনা রয়েছে বলে এসময় জানান তিনি।
জেএম/রাতদিন