বিক্ষোভে উত্তাল উত্তর প্রদেশ, নিহত ১৩

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছে। এর আগে শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর বিক্ষোভের মুখে ৬ জন নিহত হয়।

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সহিংসতা বাড়লেও নতুন করে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। চলমান বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। উত্তর প্রদেশের ১৩টি জেলায় এখন বিক্ষোভ চলমান।

এদিকে বিক্ষোভের মুখে রাজ্য সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। নতুন করে শুরু হওয়া এ আন্দোলনে বিক্ষোভকারীরা ও পুলিশ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন।

পুলিশ জানায়, বিক্ষোভাকারীরা তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাথড় ছুড়লে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। এদিকে পুলিশের দিকে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভকারীরা জানায়, পুলিশ তাদেরকে হটাতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ভারতে এখন পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া লাখনৌতে ১ এবং সাম্বালে একজন নিহত হয়েছেন।

উত্তর প্রদেশের পুলিশের প্রধান অপি সিং জানিয়েছেন, পুলিশের গুলি বর্ষণে কোনো নিহতের ঘটনা ঘটেনি। আমরা একটি বুলেটও চালায়নি। পুলিশের আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যদি বিক্ষোভে কোনো গুলি চলে তা আন্দোলনকারীরা চালিয়েছে।

এই আইনের আওতায় প্রতিবেশী তিন দেশ- আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অবৈধ অমসুলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার।

সমালোচকরা বলছেন, এটি মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিগুলো লঙ্ঘন করেছে।

বিতর্কিত আইনটির বিপক্ষে ডিসেম্বরের ১১ তারিখ থেকে বিক্ষোভে নামে দেশটির জনগণ। ভারতের উত্তরপূর্ব অঞ্চলে এই আন্দোলন শুরু হলে পরে দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়ে।

এনএ/রাতদিন