করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আগামী সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও বাংলাদেশে এ রোগের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের জারি করা সব বিধিনিষেধ ও নির্দেশনার সঙ্গে দুটি শর্ত সংশোধন করে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। এই বিধিনিষেধ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
শর্ত দুটি হল:
১. উন্মুক্ত স্থানে ও ভবন অভ্যন্তরে সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তাদের অব্যশই কোভিড টিকা সনদ বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে।
২. সব স্কুল-কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
অতিসংক্রামক করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ও করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ১৩ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।
বিধিনিষেধগুলো হল:
১. দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
২. অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনো ব্যত্যয় রোধ করতে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
৩. হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য করোনার টিকার সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
৪. ১২ বছরের বেশি সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্র্তৃক নির্ধারিত তারিখের পর টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৫. স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরসমূহে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টে থাকা ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসা চলবে না। স্থলবন্দরগুলোতেও আসা ট্রাকের সঙ্গে শুধু চালক থাকবে। কোনো সহকারীকে পোর্টের বাইরে আসতে দেওয়া হবে না। বিদেশগামীদের সঙ্গে বিমানবন্দরে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
৬. ট্রেন, বাস এবং লঞ্চ সক্ষমতার অর্ধেকসংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে। সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। চালক ও সহকারীদের করোনা প্রতিরোধী টিকা নিতে হবে।
৭. বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কভিড টিকা সনদ থাকতে হবে। দেশে এসেই তাদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে।
৮. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরার বিষয়ে মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় সচেতন করবেন ইমামরা। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
৯. করোনার টিকা ও বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় তাদের সহযোগিতা দেবে।
১০. পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধ থাকবে।
১১. কোনো এলাকায় বিশেষ কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।