বিশ্বে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে ১ জন মারা যাচ্ছে করোনায়, ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত-মৃত্যুতে শীর্ষে ভারত

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৭ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একজন করে মারা যাচ্ছেন। মৃতের সংখ্যায় এখনও শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। তার পরেই রয়েছে ব্রাজিল। তবে সাম্প্রতিক কালে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে অন্য সব দেশকে ছাড়িয়েছে ভারত।

গত দু-সপ্তাহের তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বজুড়ে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় গড়ে ৫,৯০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এতে করে প্রতি ঘণ্টায় মারা যাচ্ছেন ২৪৭ জন। প্রতি ১৫ সেকেন্ডে মৃত্যু হচ্ছে ১ জনের।

ওয়ার্ল্ডোমিটার জানাচ্ছে, বুধবার পর্যন্ত গোটা বিশ্বে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮৮ লক্ষ ৫১ হাজার ৭৯১। মৃত্যু হয়েছে ৭ লক্ষ ৭ হাজার ৪৪৮ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ২০ লক্ষ ৩২ হাজার ৪২৬ জন।

ভারতে প্রতিদিন গড়ে আক্রান্ত হচ্ছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়ার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, জাপান, হংকং, বলিভিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, বেলজিয়াম, ইসরায়েলে সংক্রমণের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সব থেকে বেশি কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে ভারতে। একই সময়ে সব থেকে বেশি মৃত্যুও ভারতেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৬২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯১৯ জনের। যেখানে আমেরিকায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৯ হাজার ২৯৫ জন এবং ব্রাজিলে আক্রান্ত ৯ হাজার ৩৯৭ জন।

আমেরিকায় বুধবার রাত পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭১৫। মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৮ জনের। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লক্ষ ১৭ হাজার ৪৭৩। মৃত্যু হয়েছে ৯৬ হাজার ৩২৬ জনের। ভারতে মোট সংক্রামিত ১৯ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৩৯। মৃত্যু হয়েছে ৪০ হাজার ৭৩৯ জনের।

মেক্সিকোয় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫৭ জন কোভিড আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮ হাজার ৮৬৯। আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৯ হাজার।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার নতুন আক্রান্ত-সহ মোট সংক্রমিত দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ৬৬ হাজার। কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার মানুষের।

বাকি দেশগুলিকে পিছনে ফেলে সবথেকে বেশি করোনা টেস্ট আমেরিকাতেই হয়েছে। প্রতি ১০ লক্ষে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮৪৩ জনের টেস্ট হয়েছে। সারাদেশে টেস্টের সংখ্যা ৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৭টি। ভারতে এ পর্যন্ত টেস্ট হয়েছে ২ কোটি ১৪ লক্ষ ৮৪ হাজার। প্রতি ১০ লক্ষে পরীক্ষা হয়েছে ১৫,৫৫৪ জনের। আর ব্রাজিলে প্রতি ১০ লক্ষে পরীক্ষা হয়েছে ৬২,৬৬৫ জনের।

জেএম/রাতদিন