রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান শহিদুন্নবী জুয়েল(৪২)কে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি পেছনের কারও ইন্ধন থাকতে পারে বলে ধরণা করেছেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য । তবে এই ঘটনার রহস্য অবশ্যই উন্মোচন হবে, শুধু সময়ের অপেক্ষায় থাকতে হবে।,
শনিবার, ৩১ অক্টোবর লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব জানান। তিনি আরো জানান, জুয়েলের পরিবারসহ বুড়িমারীর চেয়ারম্যান ও পুলিশ বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ইত্যিমধ্যে তা তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।
তিনি আরো বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকেই রং ছিটিয়ে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই সুযোগ যেন কেউ নিতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত আছেন সবাইকে আইনের কাঠগড়ায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ভূঞা,জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, ইউএনও কামরুন নাহার, ওসি সুমন কুমার মোহন্ত প্রমূখ।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার অভিযোগ এনে যাকে পিটিয়ে হত্যার পর পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সেই সহিদুন্নবী জুয়েল (৪২) বুড়িমারীতে গিয়েছিলেন ওষুধ কিনতে।
নিহত যুবক সহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে।
আরআই/ রাতদিন