এবার নাবিল পরিবহনের চাপায় রংপুরে মিঠাপুকুরে প্রাণ হারালেন তিন বন্ধু। তারা হলেন, মুরাদ (৩৩), মধু (৩৪) ও শম্ভু (৩৩)।
শুক্রবার, ২৮ জুন রাত ১১টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে শঠিবাড়ি ফিলিং স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের ভুরারঘাট এলাকায়। শম্ভু শঠিবাড়ির একটি মোটর গ্যারেজে কাজ করতেন।
মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাস জানান, রাত ১১টার দিকে শম্ভু অপর দুজনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে গ্যারেজ থেকে বাইরে যাচ্ছিলেন। এ সময় রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে মুরাদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহত শম্ভু ও মধুখে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে চিকিৎসক মধুকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শম্ভুকে সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শম্ভু।
দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত লোকজন বাসটি আটক করে ভাঙচুর করে। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে নাবিলের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
এর আগে গত ১০ জুন রাতে নীলফামারী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি নৈশকোচ সৈয়দপুরের ঢেলাপীর ও ওয়াপদা মোড়ের মধ্যবর্তী এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারিচালিত একটি রিকশাভ্যানকে চাপা দেয়। এতে রিক্সাভ্যানের দুই যাত্রী নিহত হন। রিকশাভ্যানটিকে চাপা দিয়ে বেশ কিছুদূর পথ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় নাবিল পরিবহন।
অপরদিকে গত ঈদের দিবাগত রাতে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের কাহারোল মোড়ে নাবিল পরিবহনের চাপায় মোজাম্মেল হোসেন (২৮) নামে এক সমবায় কর্মচারী নিহত হয়েছেন। নিহত মোজাম্মেল ঠাকুরগাঁও সমবায় অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন।
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মোজাম্মেল হোসেন মারা যান। পরে পুলিশ বাসসহ এর চালক ও হেলপারকে আটক করে।
এইচএ/রাতদিন